কবিরুল ইসলাম কবির, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে টিকা। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্র সমুহে স্বাস্থ্যবিধি প্রায়ই উপেক্ষিত। নেই সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখেও নেই মাস্ক। দাঁড়ানো হয়েছে গাদাগাদি করে। কেবল শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকদেরও স্বাস্থ্যবিধি না মানতে দেখা যায়। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক।
তাই টিকা প্রদান কেন্দ্র সমুহের এমন পরিবেশ-পরিস্থিতে কেন্দ্র থেকেই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে গত বৃহস্প্রতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান শুরু হয়। হরিপুর উপজেলায় ১৮ হাজার ২২০জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়া না থাকলে তাদের ক্লাসে আসতে দেওয়া হবে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাত্র একটি সেন্টারে গাদাগাদি করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। গাদাগাদি করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষার বিষয়ে জানতে হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাইহানুল ইসলাম মিঞা বলেন সবার মুখে মাক্স রয়েছে।
উল্লেখ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এক নির্দেশনায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনা প্রতিরোধে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে।