Thursday , 5 December 2024 [bangla_day] , [english_date], [bangla_date]
সর্বশেষ খবর
Home / জাতীয় / তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব

তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব

নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’।

এছাড়া যদি কোন ব্যক্তি দল পরিবর্তন করে অন্য দলের প্রার্থী হতে চায়, তাহলে ওই দলে তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নির্বাচন এলেই দল ভাঙাগড়ার খেলা শুরু হয়। এজন্য চলে টাকার খেলাও। এই খেলায় যুক্ত হন রাজনীতিক, সরকারি আমলা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ মুহূর্তে বিএনপি থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।

ওই নির্বাচনে তিনি জয়ীও হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা এ ধরনের খেলা বন্ধের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা অনেক বিষয়ে সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। তবে কোনো বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।

অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পর বিষয়গুলো চূড়ান্ত করব। তবে যেসব বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি তার মধ্যে প্রার্থী হতে দলের তিন বছর সদস্যপদ থাকা, না ভোট যুক্ত করা, সংসদের উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

কমিশনের একাধিক সদস্য জানান, নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান চালু হলে নির্বাচনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার অংশগ্রহণ বাড়বে।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ বিধান চালুর ক্ষেত্রে সদস্যরা নীতিগত একমত হয়েছেন। ‘না’ ভোট চালু হলে একক প্রার্থী হিসাবে জয়ী হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

কারণ ওই প্রার্থীর চেয়ে ‘না’ ভোট বেশি পড়লে সেখানে আবারও নির্বাচন হবে। তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের প্রার্থী দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।

আওয়ামী লীগ যেভাবে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী করে জয়ী করে এনেছে, সেই সুযোগ বন্ধ হবে।

‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি বৈঠক করেছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, নারী প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে।

গত বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।

নির্বাচন ও আইন বিশেষজ্ঞ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে কমিশনের। চলতি মাসেই সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

About Editor Todaynews24

Check Also

হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে’: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। তিনি বলেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *