Friday , 25 April 2025 [bangla_day] , [english_date], [bangla_date]
Home / আন্তর্জাতিক / নির্বাচনের আগেই ট্রাম্পের সাক্ষাৎ চান জার্মানির চ্যান্সেলর

নির্বাচনের আগেই ট্রাম্পের সাক্ষাৎ চান জার্মানির চ্যান্সেলর

আস্থা ভোটে হেরে বেশ চিন্তিত জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই জার্মানিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এই ভোটের আগেই মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চান শলৎস।

আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তার পরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চান জার্মানির চ্যান্সেলর। বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়, ট্রাম্প ভোটে জেতার পরই শলৎস তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তখনই তিনি আশাপ্রকাশ করেন, ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি তার সঙ্গে দেখা করবেন।

সূত্র বলছে, খুব সম্ভবত জার্মানিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনের আগে ওয়াশিংটন ডিসি-তে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে শলৎসের দেখা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে অন্য কোন নেতাকে তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা এখনো বলা হয়নি। বার্লিন বা ওয়াশিংটন জানায়নি, শলৎসের নাম আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে কি না।

জার্মানির মধ্য-ডানপন্থি সিডিইউ ও তার সহযোগী সিএসইউ আয়করের হার কমাতে চায়। তারা কোম্পানিগুলির করও ক্রমশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করতে চায়। তারা জানিয়েছে, বয়স্কদের পেনশন ছাঁটাই করা হবে না। তবে যারা ৬৭ বছরের পরেও কাজ করতে চান, তাদের পেনশন ছাড়াও দুই হাজার ইউরো আয়ের উপর কোনো কর বসানো হবে না।

সোশ্যাল ডেমোক্রেট (এসপিডি) চায় রাষ্ট্রের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে নিয়মের সংস্কার করা হোক। তাহলে রাষ্ট্রের হাতে বিনিয়োগের জন্য অর্থ থাকবে। পরিকাঠামো তৈরির জন্য আরো অর্থ খরচ করা যাবে। তারা চায়, যে বড়লোকদের সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ইউরোর বেশি, তাদের সম্পত্তি কর দিতে হবে। চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, ন্যূনতম মজুরির পরিমাণও বাড়াতে চান তিনি।

গ্রিন পার্টিও চায়, রাষ্ট্রের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে যে সীমা ঠিক করে দেয়া হয়েছে, তার বদল ঘটুক। তারা ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে ভর্তুকি চালু করতে চায়। পেনশন নিশ্চিত করার জন্য সিটিজেনস ফান্ড তৈরি করতে চায় গ্রিন পার্টি। তারাও বড়লোকদের আয়ের উপর কর বসানোর পক্ষে।

অতি-ডানপন্থি এএফডি-র খসড়া ইশতেহারে বলা হয়েছে, তারা চায়, জার্মানি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসুক এবং ইউরো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুক। এএফডি রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির পক্ষে এবং তারা কয়লাভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে। এএফডি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকাতে সীমান্তে কড়া প্রহরা চায়। অন্য ইইউ দেশ থেকে যারা জার্মানিতে এসেছেন, এএফডি তাদের ফেরত পাঠাতে চায়।

About Editor Todaynews24

Check Also

গুগল প্লে-হোয়াটসঅ্যাপের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইরান

ইরানে বহুল আলোচিত হিজাব আইন প্রত্যাহারের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *