শাকিব খানের একেবারে অন্য রকম লুক, অ্যাকশন, অভিনয় সব মিলিয়ে একেবারে যেন ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে টিজারটি। টিজারে চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতিও বলে দেবে এই সিনেমা সম্পর্কে আলাদা এক ধারাবাহিক অভিজ্ঞতা।
মঙ্গলবার বিকেলে আলফা আই, চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে টিজারটি। এর পরেই দর্শকের মধ্যে আরও উত্সাহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ছে এই সিনেমায়। টিজার প্রকাশের পর যেন বাংলার আকাশে ‘তুফান’ উত্থিত হয়েছে। দর্শকগণ আনন্দের ক্ষণগুলি কাটাতে মানে আসল ‘তুফান’ এখন মনেই হচ্ছে।
টিজার নিয়ে পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘“তুফান” এমন একটা ছবি যা বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে নতুনভাবে চেনাবে। অনেক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবর্তন করে। “তুফান” তেমনই একটা সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাংলা সিনেমার সীমারেখা অনেক বাড়িয়ে দেবে। বলা যায়, “তুফান” আমার জীবনের একটা ড্রিম প্রজেক্ট। সেই সঙ্গে শাকিব ভাইকে এই সিনেমায় পাওয়াটাও আশীর্বাদ।’
‘তুফান’ যে চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা হবে, তা নিয়ে বেশ নিশ্চিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ব্যাপারে তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মন্তব্য প্রায় একই।
এসভিএফের পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনি, আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল ও চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, তাঁরা বেশ আনন্দিত সিনেমার টিজার ও কাজ নিয়ে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, বড় পর্দা মানেই শাকিব খান। এই ঈদেও প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তুলবেন তিনি। সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলাসহ আরও অনেকেই থাকবেন। এর আগে ‘তুফান’-এ অভিনয় প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘রায়হান রাফী এ সময়ের প্রতিভাবান পরিচালক। তিনি আলাদা একটা দর্শক তৈরি করেছেন। সেদিক থেকে তাঁর প্রতিও আমার আস্থা আছে। আর এত বড় তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে, অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।’
আগামী ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।”