জামিন পেলেন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। তিনি বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামিরা। অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল একই আদালত ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে সিআইডির দেওয়া সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৩০ মে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ওই ৩৬ আসামির মধ্যে এই তিনজনও ছিলেন।
৪৬ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল এবং এ এইচএম ফুয়াদ কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলনসহ সাত আসামি জামিনে আছেন।
জানা যায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে ২০২২ সালের ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় আদালত সুযো মোটোভাবে (স্বতঃপ্রণোদিত) সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি।
সুএঃ সমকাল পত্রিকা