বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হলেও ২০২৩ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেমন দুর্নীতি হয়েছে তা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ গবেষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৩ সালে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা এবং ঘুসের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ খানা। সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
টিআইবির খানা জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ঘুসের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ; সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
টিআইবির খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবাখাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুসের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
বিচারিক সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুসের উচ্চ হার অব্যাহত, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা; অন্যদিকে ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএ’র মতো সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুস বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।