মঈন আলির শেকড় পোতা পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মিরপুরে। তবে জন্ম, বেড়ে উঠা ইংল্যান্ডে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
মঈন আলির স্ত্রী ফিরোজা হোসেনের বাড়ি সিলেটে। ফিরোজার জন্ম ও বেড়ে উঠা ইংল্যান্ডে। সেখানেই দুজনের পরিচয়, পরিণয় এবং বিয়ে। ফিরোজা কয়েকবারই পিতার সঙ্গে সিলেট ঘুরে গিয়েছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল খেলতে প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে এখন মঈন আলি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ড থেকে কয়েক মিনিট দূরে পীর মহল্লাই তার শ্বশুরবাড়ি। গতকাল এখানেই অনুশীলন সেরেছেন ৩৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২০০৫ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন মঈন আলি। ২০১৩ বিপিএল খেলে গেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে আরো কয়েকবার এসেছেন দেশে। তবে সিলেটে এবারই প্রথম তার পা পড়ল। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় হয়তো শ্বশুরের ভিটে-ভাটি ঘুরে দেখা কঠিনই হবে তার জন্য। মঈন আলির বিপিএল খেলাকে কেন্দ্র এখন সিলেটে পারিবারিক পুনর্মিলনী হতে যাচ্ছে। ফিরোজা হোসেনের বোন, ভাইরা এসেছেন বাংলাদেশ। ঢাকা থেকে আজ-কালের মধ্যেই তারা সিলেটে আসবেন। গতকাল অনুশীলনের পর ইংলিশ এই ক্রিকেটার বলেছিলেন, ‘পরিবারের অনেকেই এসেছে। আমার স্ত্রী এখানে। তার বোনরা, আমরা শ্যালক, সবাই আছে। ওরা ঢাকায় আছে, দিন দুয়েকের মধ্যে সিলেটে আসবে ওরা।’
জামাই বলে কথা, সিলেটের হোটেলের লোকজনও নাকি মঈন আলিকে সিলেটি শব্দ শেখাচ্ছেন। শেখার আগ্রহে কমতি নেই তারও। গতকাল বলেছেন, ‘কয়েকটি সিলেটি শব্দ জানি আমি, এই তো। সত্যি বলতে, আরো বেশি জানতে পারলে ভালো লাগত। চেষ্টা করব আরো শিখতে। এখন হোটেলে লোকেরা আমার সঙ্গে সিলেটি কথা বলছে। চেষ্টা করছি শিখতে।’ ইংল্যান্ডের মতো পাকিস্তান, বাংলাদেশকেও নিজের বাড়িই মনে করেন মঈন আলি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেটে আসতে পেরে খুশি তিনি। গতকাল এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘বাংলাদেশও বাড়ি, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সবই আমার ঘর। সব আমার চোখে এক। আমার সব ইন-লজরা এখানে। সিলেটে আমার এবারই প্রথম। ওরা আমাকে সবসময় বলত, ‘চলো সিলেটে যাই।’ কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে। হতাশাজনক যে, বাইরে যেতে পারছি না। তবে এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। আমার পরিবার এখানকার। খুবই খুশি।’