রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্ষুপ্ত জনতার তোপের মুখে পড়ে নারী সাংবাদিক মুন্নী সাহা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শনিবার(৩০ নভেম্বর)রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্ষুপ্ত জনতার তোপের মুখে পড়েন এ নারী সাংবাদিক।
ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে পড়াসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ।এজন্য চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে।সেসব মামলায় তাকে আত্মসমর্পণ করে কোর্ট থেকে জামিন নিতে হবে।যেহেতু তিনি প্যানিক অ্যাটকের শিকার এবং নারী সাংবাদিক।এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে ছাড়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন নেওয়ার শর্তে ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় গ্রেপ্তার মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কারওয়ান বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়ার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।পরে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
মুন্নি সাহাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। যে থানায় মামলা রয়েছে সে থানার ওসি আসবে, যে থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছিল তারাও আসবে। এরপর পরিবারের জিম্মায় কাগজে-কলমে আইনানুসারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
খবরে জানা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। সেখানে গিয়ে তিনি জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশকিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।