‘অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে’ দেশের মানুষ খুশি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জায়েদ খান। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কতটা ছোট জাতি, তোরা তো আরও গর্ব করবি যে ওখানে বলা হয়েছে জায়েদ খান ফিল্ম অ্যাক্টর বাংলাদেশ’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন তিনি। শুক্রবার (২১ জুলাই) হঠাৎ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পুরস্কার প্রপ্তির খবর জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে, যুক্তরাষ্ট্রে “ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ” এবং ‘হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন’ নামে দুটি সংস্থা যৌথভাবে সারা বিশ্ব থেকে ৪০ জন ব্যক্তিকে ‘দ্য হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ডেলিগেটদের ডাইনিং রুমে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জায়েদ খান কে ‘গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবে জায়েদ খানের অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এটা জানার পরই নেটিজেনরা জায়েদ খানের সমালোচনায় মেতে ওঠেন। যা ভালোভাবে নেননি ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এই নায়ক জায়েদ খান।
তার ভাষ্য, দেশের একটা ছেলে এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সবার খুশি হওয়া উচিত ছিলো। খুশি না হয়ে বরং সমালোচনা করায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে নিজের বিরক্তির কথা জানান তিনি। আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘ইউনূসের অ্যাওয়ার্ডের সময়ও বলেছিল যে, কিনে নিয়ে এসেছে।ওরা যে ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে দুই দেশের রানি, রাষ্ট্রদূত, নিইজার্সির পুলিশ প্রধান, এখানের মেয়রের নাম রয়েছে। অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে। জাতিসংঘের হলরুম ভাড়া নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সেখানে লোকদের ঢোকানো হয়েছে। আমি কি কোথাও বলেছি যে এটা সরাসরি জাতিসংঘের পুরস্কার?’
সমালোচনার বিপরীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, ‘এটাতে বাংলাদেশের মানুষের খুশি হয়ে যাওয়ার কথা, গর্ব হওয়ার কথা যে বাংলাদেশের একটা ছেলে পুরস্কার পেয়েছে। সেটাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এত নেগেটিভ কথাবার্তা মানুষের। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। কিন্তু কতটা ছোট জাতি, তোরা তো আরও গর্ব করবি যে, ওখানে বলা হয়েছে জায়েদ খান ফিল্ম অ্যাক্টর বাংলাদেশ।’