গত দেড় দশকে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণনির্ভর বড় আকারের বাজেট দেয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানোর পাশাপাশি লুণ্ঠনের অন্যতম উৎসও ছিল বড় অংকের এ বাজেট।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগের সরকারের প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রতি বছরই পুরো বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়ার কারণে সংশোধনের মাধ্যমে এর আকার কমাতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
গতকাল আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ৪ শতাংশ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাড়ে ৪ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করেছে।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা যাতে সচল থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির বেশি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে, চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর আগামী অর্থবছরে এটি ৬ শতাংশ ছাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার গ্রামাঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে।