ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতের বিদেশী ঋণ কমতে শুরু করেছে। স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি বিদেশী ঋণ ব্যাপকভাবে পরিশোধ শুরু করা হয়েছে। মাত্র তিন মাসেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত না দিয়েও এমন পাঁচ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি দুই বিলিয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি তিন বিলিয়ন ডলার রয়েছে। ফলে শুধু বেসরকারি খাতেই বিদেশী ঋণ কমেছে ১২১ কোটি ডলার, যা শতকরা হিসেবে প্রায় ১১ ভাগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের আগে বেসরকারি খাতে ঋণ অনুমোদন দেয়া হতো খুবই সীমিত আকারে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ঢালাওভাবে বেসরকারি খাতে ঋণ অনুমোদন দেয়া শুরু হয়। বেসরকারি খাতে বৈদেশিক মুদ্রায় দায় ২০১৫ সালে বেড়ে হয় ৮০০ কোটি ডলার।
এরপর প্রতি বছরই বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক পর্যায়ে বেসরকরি খাতে বিদেশী ঋণ বেড়ে হয় প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১৮ বিলিয়নই স্বল্পমেয়াদি।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কিছু বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ সাপ্লাইয়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিমের মাধ্যমে যে পরিমাণ বিদেশী ঋণ সংগ্রহ করেছে তার বেশির ভাগই পাচার করেছে। ফলে দেশের ওপর ঋণের দায় সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসেনি। এক পর্যায়ে বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ শুরু হয়। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষের দুই বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। তবে, আইএমএফের হিসাবে তা ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।