রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে একদিনে মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় নদী পাড়জুড়ে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ও নারীর বয়স প্রায় ৩০ বছর। যুবকের পরনে ছিল লাল রঙের চেক শার্ট ও ট্রাউজার। আর যুবতীর পরনে ছিল লাল রঙের সালোয়ার ও ছাই রঙের গেঞ্জি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর ঘাট থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক মোক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারিপুর ঘাটে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবক-যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় যুবকের হাতের সঙ্গে যুবতীর এক হাত বাধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক দুই থেকে তিন দিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ফুলে যাওয়ায় চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। তাদের পরিচয় শনাক্তে ফরেন্সিক দলকে অবগত করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে বুড়িগঙ্গায় মীরেরবাগ এলাকা থেকে আধ ঘন্টার ব্যবধানে ভাসমান অবস্থায় নারী ও শিশুসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ-পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তারা সম্পর্কে মা ও ছেলে। উদ্ধারকৃত নারীর বয়স ৩৫ ও শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর। এ সময় উদ্ধারকৃত নারীর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ এবং গলায় বোরকার হাতা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। আর উদ্ধারকৃত শিশুটির গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে তাদেরকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।