Wednesday , 4 December 2024 [bangla_day] , [english_date], [bangla_date]
সর্বশেষ খবর
Home / অর্থনীতি / বাজেটের আকার কমতে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকা

বাজেটের আকার কমতে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকা

গত দেড় দশকে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণনির্ভর বড় আকারের বাজেট দেয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানোর পাশাপাশি লুণ্ঠনের অন্যতম উৎসও ছিল বড় অংকের এ বাজেট।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগের সরকারের প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রতি বছরই পুরো বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়ার কারণে সংশোধনের মাধ্যমে এর আকার কমাতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

গতকাল আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত দুটি সভায় অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) আবদুর রহমান খান, অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গতকালের সভায় চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য অর্থবছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো বাজেট কমানো হলেও এবার সেটি ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।
সাম্প্রতিক বন্যা এবং জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটির জন্য সরকারের বাড়তি অর্থ ব্যয় হবে। পাশাপাশি সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় বাড়বে। এসব কারণে এবার বাজেটের আকার খুব বেশি কমানো সম্ভব হবে না।
পাশাপাশি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকারও বাড়বে। এর পরিমাণ ৮ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেট কত হতে পারে, সে বিষয়ে সামনের বছরের এপ্রিলে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ৪ শতাংশ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাড়ে ৪ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করেছে।

তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা যাতে সচল থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির বেশি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে, চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর আগামী অর্থবছরে এটি ৬ শতাংশ ছাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার গ্রামাঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে।

About Editor Todaynews24

Check Also

১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত অর্থনীতির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *