বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা সিরিয়ায় ৪৮০ বার হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ১৫টি নৌযান, বিমান–বিধ্বংসী ব্যাটারি এবং বেশ কয়েকটি শহরে অস্ত্র উৎপাদনকারী কেন্দ্রও আছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েল কঠোর সামরিক হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা গত দুই দিনে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। যার মাধ্যমে সিরিয়ার বেশির ভাগ কৌশলগত অস্ত্র মজুত ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী রাতারাতি সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করেছে এবং এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছে। এরই মধ্যে সিরিয়ায় সরকারহীনতার সুযোগ নিয়ে গোলান মালভ‚ মিও দখল করে নিয়েছে ইসরাইল। ১৯৭৪ সালে ওই মালভূমি নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল।
এদিকে বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার ওপর হামলা শুরু করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ইসরাইলকে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ইসরাইল সরকার।
এবার বাশারের পতন হতেই আবার সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবারই নেতানিয়াহু গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের অংশ বলে দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের হামলাকে গোলান মালভূমিতে পুনরায় দখলের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।