Sunday , 3 December 2023 [bangla_day] , [english_date], [bangla_date]
সর্বশেষ খবর
Home / ফাও প্যাঁচাল

ফাও প্যাঁচাল

৯৫ টাকা গেলো কোথায়?

বিধানসভায় পবিত্র কর তার বক্তৃতার ফাঁকে একটি গল্প বলেছিলেন –

“এক বাবা তার তিন ছেলেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে বললেন যে এমন কিছু কিনে আনো যাতে ঘরটা পুরো ভর্তি হয়ে যায়।”

প্রথম ছেলে ১০০ টাকার খড় কিনে আনল কিন্তু তা দিয়ে ঘর পুরোপুরি ভর্তি করতে পারল না।

দ্বিতীয় ছেলে ১০০ টাকার তুলো কিনে আনল কিন্তু তাতেও ঘর পুরো ভর্তি হলো না।

তৃতীয় ছেলে ৫ টাকা দিয়ে একটি মোমবাতি কিনে আনল এবং ঘরের মাঝেখানে রেখে জ্বালাল। এতে পুরো ঘর আলোতে ভরে উঠলো।

পবিত্র কর আরও বলতে লাগলেন, “আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তৃতীয় ছেলের মতো। যেদিন থেকে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন এই রাজ্য উন্নতির আলোতে ভরে উঠেছে।”

পিছন থেকে আওয়াজ আসলো, “সেটাতো ঠিকই আছে, কিন্তু বাকি ৯৫ টাকা গেলো কোথায়?”

সবই মিথ্যে

মদন অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালানোর দায়ে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করালো।

পুলিশ, “কি ব্যাপার, এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কেন?”

মদন, “কি করবো? আমার তো লাইসেন্স নেই!”

পুলিশ, “সর্বনাশ! লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন?”

মদন, “আরে, আমার স্ত্রীকে হঠাৎ খুন করে ফেললাম। এবার লাশটাকে তো গুম করতে হবে।”

পুলিশ পুরো ভড়কে গিয়ে বললো, “লাশ কই?”

মদন, “বনেটে আছে”

সঙ্গে সঙ্গে ওয়্যারলেসে সব জায়গায় খবরটা জানিয়ে দিলেন ট্রাফিক পুলিশ। তার মনে একজন ভয়ংকর অপরাধী ধরার সাফল্যে প্রমোশনের আশা। পুলিশের বড় কর্তা সবাই এসে হাজির। আর তাদের সঙ্গে মিডিয়া। চারদিক লোকারণ্য।

বড় কর্তা এবার মদনকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি নাকি খুন করেছো?”

মদন শুনে চেঁচিয়ে উঠল, “পুলিশ প্রচন্ড মিথ্যাবাদী। ঘুষ না পেয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে। আমি খুনটুন কিছু করিনি।”

বড় কর্তা লোকটির কথায় কান না দিয়ে গাড়ির বনেট তুললেন, কিন্ত সেখানে কিচ্ছুটি নেই। একদম ফাঁকা। রাগত দৃষ্টিতে তিনি এবার ট্রাফিক পুলিশের দিকে তাকালেন।

পুলিশ বেচারা আমতা আমতা করে বলতে লাগলেন, “লোকটা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে!”

মদন সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠল, “ব্যাটা মিথ্যাবাদী, এটা কি?” এই বলে পকেট থেকে লাইসেন্সটা বের করে দিল। লাইসেন্স দেখে পুলিশ আমতা আমতা করে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই মদন আবারো চেঁচিয়ে উঠলো, “বলুন,আরো বানিয়ে বানিয়ে বলুন! এবার নিশ্চয়ই বলবেন যে আমি বেশি স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিলাম?”